আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে দেখা হিমালয়ের দৃশ্য।

হিমালয় পর্বতমালা নেপালের উত্তরতম অঞ্চল গঠন করে। এই অংশে বিশ্বের সর্বোচ্চ মাউন্ট এভারেস্টসহ বিশ্বের দশটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের আটটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ।

এই অঞ্চলের একটি অংশ যা বিভিন্ন দেশ জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে, সেই পর্বতশ্রেণীর জন্য হিমালয় নিবন্ধ দেখুন।

অঞ্চলসমূহ

"তুষারাবৃত পর্বত, পর্বত হ্রদ, চোলা উপত্যকা, নেপাল, হিমালয়।"

অন্নপূর্ণা নেপালের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্বতারোহণ পয়েন্টগুলির একটি।

কুম্বু এভারেস্ট পর্বত এবং নামচে বাজারের আশপাশের এলাকা।

শহরসমূহ

• 1 জিরি- এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে ( পর্বতারোহীরা যেখানে মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ প্রক্রিয়া শুরু করার আগে প্রস্তুতি নেয়) পর্বতারোহীদের জন্য নিকটতম রাস্তা।
• 2 জোমসাম- উপরের কালীগন্ডকি উপত্যকার আকাশপথ। অধিকাংশ মৌলিক সেবা এখানে পাওয়া যাবে। গাসা থেকে জোমসম বাস ভ্রমণও উপলব্ধ (নেপালিদের জন্য ৩০০ রূপি; বিদেশীদের জন্য ৬০০ নেপালি রূপি)। তবে এখানে আপনার পর্বতারোহণে স্বর্গীয় প্রতিচ্ছবি থাকবে।
• জুনবেসি - একটি মনোরম গ্রাম।
• 3 কুম্পুর- ধাদিং জেলায় অবস্থিত।
• 4 লাকলা- এখানে খুম্বুর বিমানবন্দরে অবস্থিত।
• 5 নামচে বাজার- মাউন্ট এভারেস্টের পাদদেশ।
• 6 সাল্লেরি- সোলু খুম্বু জেলার জেলা সদর শহর। এটি এভারেস্ট অঞ্চলে যাওয়ার একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত।
• 7 টেংবোচে- খুম্বুতে অবস্থিত একটি বড় মঠ, যার আশেপাশে কিছু বসতি রয়েছে। এটি এভারেস্ট অঞ্চলের অন্যতম প্রধান বৌদ্ধ মঠ।
• 8 টুকুচে- থাক্কালি সংস্কৃতির কেন্দ্র, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য গ্রাম, হোটেল এবং রেস্তোরাঁ

অন্যান্য গন্তব্য

• 9 চৌ লা
• 10 গনেশ হিমেল- বিভিন্ন সাত-হাজার দ্বারা বেষ্টিত একটি পর্বতশ্রেণী। যদিও বেশিরভাগ ক্লাইবার এখানে আরোহণ করেন না।
• 11 খুম্বু- বিশ্বের সর্বোচ্চ শিখর; এভারেস্টের চারপাশে সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত - সাগরমাথা জাতীয় উদ্যান ।
• 12 লাঙটাঙ রাষ্ট্রীয় নিকুঞ্জ
• রানা জাতীয় উদ্যান- রারা তালসহ কাঞ্জিরোবা হিমালয়ের পাদদেশে একটি বড়, গভীর সাবলপাইন হ্রদ। নিম্ন হিমাল অঞ্চল হুমলা ও ডলপা অঞ্চলের আরেকটি প্রবেশদ্বার। বাসে এলে পুলিশ অনির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের অনুমতির জন্য ৩,০০০ নেপালি রূপি চায়।
• 13 শে-ফোকসুন্ডো জাতীয় উদ্যান- ডলপা জেলায় অবস্থিত।

দর্শনীয়

এখানকার বেশিরভাগ দর্শনীয় স্থানই পাহাড়ের সাথে সম্পর্কিত এবং ধর্মীয় কাঠামো, মুসলিম, হিন্দু এবং বৌদ্ধদের সাথে সম্পর্কিত। প্রতিটি জনপ্রিয় গন্তব্যই একটি দর্শনীয় স্থান।

ভ্রমণপথ

• অন্নপূর্ণা সার্কিট
• চো লা
• এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ট্রেক
• হিমালয়
• আইল্যান্ড পিক ট্রেক
• গ্রেট হিমালয় ট্রেইল

করণীয়

পদযাত্রা (ট্রেকিং) হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় কার্যকলাপ, যেখানে পদযাত্রার জন্য় মরুভূমি থেকে জঙ্গল পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা রয়েছে। যোগ বা ধ্যান অধ্যয়ন করাও জনপ্রিয়। অনেক স্থানে সাদা পানিতে জলক্রীড়া করা জনপ্রিয় একটি কার্যকলাপ ( জলক্রীড়া: দ্রুতগতির নদীতে রাবারের তৈরি বিশেষ নৌকা ব্যবহার করে ভ্রমণ বা দুঃসাহসিক অভিযান। এখানে দলবদ্ধভাবে স্রোতযুক্ত নদীর উপর দিয়ে নৌকা চালানো হয়, যা চ্যালেঞ্জিং এবং উত্তেজনাপূর্ণ)।

নিরাপদে থাকুন

• উচ্চতার কারণে অসুস্থতা একটি উদ্বেগজনক বিষয় হতে পারে। হিমালয়ের অনেক গিরিপথের উচ্চতা ৫,০০০ মিটারের বেশি। তাই আপনার উচ্চতা যতটা সম্ভব ধীরে ধীরে বাড়ান; কম উচ্চতা থেকে একবারে উচ্চতায় উড়ে যাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং শারীরিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করুন। উচ্চতায় আরোহণের পর প্রচুর তরল পান করুন। উচ্চতায় অসুস্থতা অপ্রত্যাশিত এবং এমন লোকেকেও আঘাত করতে পারে, যাদের আগে কোনো সমস্যা হয়নি। আপনার পরিকল্পনায় নিজেকে অনেক সুযোগ দিন; যখন বিশ্রামের প্রয়োজন হয় তখন নিজেকে উচ্চতায় ঠেলে তোলা এড়িয়ে চলুন।
• নিয়মিত খবর-সংবাদ সংগ্রহের সাথে লেগে থাকুন। সশস্ত্র বিদ্রোহের সম্মুখীন কাশ্মীর অথবা নেপালের মতো জায়গায় যাওয়ার সময় নিজের পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকুন।
• সরু রাস্তায় ট্র্যাফিক সর্বদাই ভীতিজনক; তবে ধীর গতির কারণে প্রাণহানির সম্ভাবনা কম থাকে।

পরবর্তী ভ্রমণ

হিমালয় থেকে বাহিরগামী বিমানগুলি প্রায়শই খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাতিল হয়। একটি সংযোগকারী বিমান ধরার প্রয়োজনে কয়েক দিন অপেক্ষা করার বিষয়টি ভুলবেন না।

{{#assessment:অঞ্চল|রূপরেখা}}